প্রতিদিনকার চিন্তা

সারজিস ও অন্যান্য আন্দোলনকারীদের রেকর্ড পর্যালোচনা করে এটা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে এই অবস্থা সৃষ্টির জন্য হাসিনা সরকারের আমলাতন্ত্র সিংহভাগ দায়ী। যেখানে তাঁরা জুলাই মাসের শুরুতে নিজেরা মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৫% রাখার ব্যাপারে এবং সব মিলিয়ে কোটা ১০% রাখার জন্য মত দিয়েছিল এবং বিগত বি সি এস পরীক্ষাগুলোর হিসেবে দেখা যায় সবেমাত্র ৭-১০% যোগ্য প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা সম্প্রদায় হতে পাওয়া গেছে সেখানে কেন তাঁরা এ বিষয়টি নিয়ে এত গড়িমসি করল? এই অন্যায্য এবং অপ্রয়োজনীয় কোটা কেন এতদিন রাখা হল? কেন এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তাঁরা বুঝাতে ব্যার্থ হল? আরেকটি আবর্জনার সৃষ্টি হয়েছিল চরম তেলবাজ তথাকথিত সাংবাদিকদের নিয়ে। তাদেরকে কেন এত গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে প্রেস ব্রিফিং করতে হত? পৃথিবীর কোন দেশে এটা আছে। এই তেলবাজ গোষ্টির প্ররোচনায় একটি প্রশ্নে দিক হারিয়ে আজ এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পুরো কাঠামোর প্রতিটা অংশে সিদ্ধান্ত ও কাজ করার প্রক্রিয়ায় পচন ধরেছে। এর ফলে সরকারের কোন একটি ক্ষেত্র থেকে নৈর্ব্যক্তিকভাবে চিন্তা ও পরামর্শ তুলে ধরার ধারা ক্ষত বিক্ষত হয়ে বিলুপ্ত হয়েছে। তল্পীবাহকরা একদিকে ক্রমাগত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে এর মৌলিক শক্তিকে দিকভ্রান্ত করেছে আর অন্য দিকে এই উদ্দেশ্য তাঁরা একটি যোগ্য উত্তরসুরী তৈরী করতে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যার্থ হয়েছে।

5/8/20241 min read

14 Feb 2025

Modi Trump talk on Bangladesh

Yesterday, when the journalist asked about whether the US deep state was involved in the Bangladesh case, Trump declined it. If a president has a minimum level of sanity, he will act as Trump did. But leaving it to Modi to address it, probably indicates a policy diversion to rely on India again on the Bangladesh issues. It is alarming!

Moreover, Modi’s diversion of his response to the Ukraine issue probably does not only indicate India's long-standing policy not to discuss regional issues publicly with external powers or just simply trying to skip a controversial question but may also imply the most important reason for such systematic level policy shift that ultimately to led to the dramatic regime change. Had the Ukraine war not happened, and India or Bangladesh did not have to take a side, the systematic level dictates that stroke the striking blow for the regime change in Bangladesh might not have been present, and there might not have been any regime fall!

আজব দেশ বাংলাদেশ

বাংলাদেশের মত এত বিদেশী শক্তির ভক্ত আর কোন স্বাধীন দেশ খোঁজে পাওয়া যাবে কি-না সন্দেহ আছে। এদেশের মানুষ বিদেশী দূতাবাসের কারো সাথে দেখা করতে পারলে বা দূতাবাস থেকে কেউ তাদের সাথে দেখা করতে গেলে বিগলিত ও বিদ্ঘুটভাবে আনন্দিত হয়। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আর মন্রীরা তাঁদের দেখা পাবার জন্য উন্মূখ হয়ে থাকে। পদবীর সাথে মানানসই নয়, এমনকি অনেক নীচের লেভেলের সাথে দেখা করতেও তাঁরা উন্মূখ হয়ে থাকে।

এই সুযোগ নিয়েই অন্য দেশের ডিপ স্টেট কাজ করে। বিদেশী এন জি ও, থিংক ট্যাংক, এজেন্সী, অর্থায়ন পায় সেসব দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য। এইসব উন্নত দেশ গ্রহীতা দেশের সরকারকে তাঁদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো এসব খাতে সরাসরি সহায়তা করে না। তাঁদের উল্লিখিত সংস্থায় সহায়তা করে আর সময়মত তাদেরকে নিজস্ব স্বার্থে কাজে লাগায়।

বাংলাদেশের নিজস্ব আত্মপরিচয় নিয়ে দাড়ানোর মত কোন পলিটি এখনও তৈরী হয়নি। দেশের স্বার্থের জন্য একনিষ্টভাবে কাজ করে যেতে বদ্ধপরিকর কোন রাজনৈতিক দলও এখনো তৈরী হয়নি। এমনকি নিজেদের স্বার্থ পুরোপুরি বুঝবার ক্ষমতাও এখনো তৈরী হয়নি।

বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ, সমস্যা, রাজনীতি